নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সিলেট মহানগর শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম বলেছেন, "সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দীর্ঘ দুই দশকেও প্রবাসীদের ন্যায্য প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। যেখানে সব সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এখনো বহুজাতিক এয়ারলাইন্স সিলেটে ফ্লাইট চালু করছে না, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও হতাশাজনক।"
রোববার (১৮ মে) সন্ধ্যায় নগরীর জিন্দাবাজারস্থ ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড শপিং সিটির ১০ম তলায় সুপ্রিম ল’ চেম্বারে প্রবাসী বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বহুজাতিক ফ্লাইট চালু, সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে বিমান ভাড়া কমানো এবং কার্গো মালামাল কাস্টমস প্রক্রিয়া সিলেটেই সম্পন্ন করার জোর দাবি জানানো হয়।
বদরুজ্জামান সেলিম বলেন, “যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসীদের প্রায় ৯০ শতাংশই সিলেটি, যারা দেশের অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখছেন। অথচ তাদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারাটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।” তিনি প্রবাসীদের স্বার্থে যে কোনো ন্যায্য আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং ওয়েলফেয়ার ফোরামের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
ফোরামের আহ্বায়ক ড. এম. এ. মোশতাকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এক্সপ্রেস কার্গোর চেয়ারম্যান প্রবাসী এনামুল করিম, ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ড. শাহ জামাল নুরুল হুদা।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মহি উদ্দিন আহমদ, এডভোকেট মোহাম্মদ শাহাজাহান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী খলকু কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন, সমাজকর্মী আবুল হাসনাত শামীম, তারেক আল মঈন, মকসুদ হোসেন, মন্তাজ আলী ও রুহেল আহমদ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ড. এম. এ. মোশতাক বলেন, "১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেও এখনো ‘আন্তর্জাতিক’ নামটি শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। বিদেশ থেকে যাত্রীরা সিলেটে এলেও তাদের মালামাল চলে যায় ঢাকায়, কাস্টমস প্রক্রিয়া শেষ করে ২-৩ সপ্তাহ পর মালিকদের হাতে পৌঁছায়—যা চরম হয়রানিমূলক।"
তিনি আরও বলেন, “সাম্প্রতিককালে স্পেন-সিলেট সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চালু করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তবে একইভাবে সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে কার্গো ফ্লাইট চালু করাও সময়ের দাবি।”
প্রবাসীদের কল্যাণে এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে সিলেট ও দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের আরও সক্রিয় অবদান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মতপ্রকাশ করেন বক্তারা।