শেখ ফয়সল আহমদ, ওসমানীনগর (সিলেট) থেকেঃ পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ওসমানীনগরের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র গোয়ালাবাজার ও আশপাশের হাটগুলোতে জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় 'জিরো টলারেন্স' নীতি ঘোষণা করেছে প্রশাসন। হাটে সম্ভাব্য বখাটেপনা, চাঁদাবাজি, যানজট এবং জাল টাকার কারবার রোধে চূড়ান্ত কঠোর বার্তা দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান পিপিএম (সেবা)।
তিনি বলেছেন, "যেকোনো বিশৃঙ্খলা, হয়রানি কিংবা অবৈধ চাঁদাবাজি—কোনো কিছুই বরদাশত করা হবে না।" বিশেষ করে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র যান থামানো কিংবা হাটকে কেন্দ্র করে সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাট ব্যবস্থাপনায় নেওয়া হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ:
- সিএনজি ও যানবাহন পার্কিং:
ফুলকলি সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে এবং দাশপাড়া রোডের উত্তর পাশে নির্ধারিত পার্কিং ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
- নারীদের নিরাপত্তা:
নারী ক্রেতাদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য হাট এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
- মোটরসাইকেল ও যান চলাচল নিষিদ্ধ:
হাট চলাকালে বাজার এলাকার গলিতে মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।
- জাল টাকার বিরুদ্ধে বিশেষ টিম:
গরুর হাটে জাল টাকার লেনদেন রোধে থাকবে বিশেষ গোয়েন্দা ইউনিট ও জাল টাকা শনাক্তকরণ ইউনিট।
- সাদা পোশাকে নজরদারি:
পকেটমার ও অপরাধীদের ধরতে সাদা পোশাকে পুলিশের চৌকস সদস্যরা হাটজুড়ে নজরদারিতে থাকবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, "শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের নজরদারি সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে। কেউ বিশৃঙ্খলা করলে সাথে সাথে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
সতর্কবার্তা ইতোমধ্যেই হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ব্যবসায়ীদের মাঝে আলোড়ন তুলেছে।
অপরাধী চক্রের জন্য এটি যেন এক অঘোষিত যুদ্ধঘোষণা—আর ভুক্তভোগীদের জন্য একটুকরো স্বস্তি।