নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেট-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এক নজর দেখার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করছে। তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসেই নয়, বিশ্ব ইতিহাসেও একটি স্মরণীয় দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত গণসংবর্ধনা ও জনসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সিলেট মহানগর বিএনপি আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গত রাতে নগরীর তোপখানাস্থ প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
খন্দকার মুক্তাদির বলেন, ২৪ তারিখ রাত থেকেই ঢাকা শহর সাধারণ মানুষের শহরে রূপ নেবে। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন কেবল একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়, এটি ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ যুগসন্ধিক্ষণ। এই আগমনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে গণমানুষের জোয়ার নামবে এবং অন্তত এক কোটি মানুষের সমাগম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তারেক রহমানের নেতৃত্ব অনিবার্য।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কয়েস লোদীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় অন্য বক্তারা বলেন, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে সিলেটবাসী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার এই প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং এটি এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন মিছবাহ, মাহবুব কাদির শাহী, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, আমির হোসেন, ডা. আশরাফ আলী, আফজাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আহমদ মুকুল, শামীম মজুমদার, শুয়াইব আহমদ শুয়েব, মুঞ্জুরুল হাসান মঞ্জু, নাদির খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, রফিকুল ইসলাম রফিক, জাকির মজুমদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, ৬টি থানার আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ, ৪২টি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় ২৫ ডিসেম্বরের কর্মসূচি সফল করতে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
