জৈষ্ঠ্য প্রতিবেদকঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বিএনপি গতকাল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে সিলেট বিভাগের কয়েকটি আসনের প্রার্থীদের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। দলীয় সূত্র জানায়, তৃণমূলের মতামত ও আন্দোলনে সক্রিয়তার ভিত্তিতেই এই প্রাথমিক তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
সিলেট-১: খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক তিনবারের নির্বাচিত এমপি খন্দকার আব্দুল মালিকের ছেলে মোক্তাদির চৌধুরী এই আসনে দলের অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী। গত জাতীয় নির্বাচনে তিনি একই আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন এবং ভরাডুবির মধ্যেও সংগঠন ধরে রেখেছেন। স্থানীয়ভাবে শিক্ষিত, প্রভাবশালী ও দলীয় সিনিয়র নেতাদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তিনি মাঠে শক্ত অবস্থানে আছেন বলে জানা গেছে।
সিলেট-২: মোসাম্মৎ তাহসিনা রুশদীর লুনা, নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম. ইলিয়াস আলীর সহধর্মীনি লুনা এই আসনে আবেগ ও সহানুভূতির প্রতীক হয়ে আছেন। ২০১৮ সালেও তিনি এই আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, ইলিয়াস আলীর অনুপস্থিতিতেও তার পরিবারের প্রতি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এখনো অটুট, যা লুনাকে মাঠে এগিয়ে রাখছে।
সিলেট-৩: এম এ মালিক, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালিক প্রবাসী নেতা হিসেবে দলের আন্তর্জাতিক যোগাযোগে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। প্রবাসী ভোটারদের বড় অংশ তার প্রতি অনুকূলে থাকায় এই আসনে তিনি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
সিলেট-৬: এমরান আহমেদ চৌধুরী, তরুণ প্রজন্মের এই নেতা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সংগঠনে তিনি মাঠপর্যায়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। দলীয় সূত্র বলছে, তৃণমূলের নতুন প্রজন্মের নেতাদের মূল্যায়নের অংশ হিসেবেই তাকে এই আসনে রাখা হয়েছে।
সিলেট-৪ ও সিলেট-৫ আসনের প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে। তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই দুই আসনে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম আলোচনায় রয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণা করা হবে শিগগিরই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে সিলেট -১ আসন নিয়ে যেখানে হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন সিলেট সিটির সাবেক মেয়র ও বিএনপির অন্যতম নেতা আরিফুল হক চৌধুরী তাকে মনোনয়ন দেয়নি দল। অথচ আরিফুল হক চৌধুরী দলের উপর আশাবাদী হয়ে এর আগে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
