স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ইদানীং বিদ্যুৎ বিভ্রাট চরম আকার ধারণ করেছে। দিনের পাশাপাশি এখন রাতেও লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়েই চলেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না, আর বিদ্যুৎ এলেও তা মাত্র ২০-৩০ মিনিটের জন্য। এতে করে এলাকার সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, গরমের কারণে দিনে বিদ্যুৎচাপ একটু বেশি হওয়া স্বাভাবিক হলেও, রাতের সময় লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ার কোনো যুক্তিসংগত কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। একজন ভুক্তভোগী বলেন, “রাতে তো অফিস-আদালত বন্ধ থাকে, তাই লোড কম থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, রাত হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, একবার গেলে দুই-তিন ঘণ্টা ফেরে না।”
এই অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না, ছোট শিশু ও বৃদ্ধদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে, এবং ব্যবসা-বাণিজ্যেও দেখা দিচ্ছে মারাত্মক সমস্যা।
দক্ষিণ সুরমার এক ব্যবসায়ী, যিনি কম্পিউটার স্টুডিও পরিচালনা করেন, ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। কাস্টমারদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। অসহ্য গরমে আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীরা শারীরিকভাবে চরম কষ্টে আছি। ব্যবসা তো বন্ধ হওয়ার পথে।”
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, দক্ষিণ সুরমায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও ওয়াবদা—দুই প্রতিষ্ঠানই ভাগ করে নিয়ে থাকে। অথচ দুই প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন এলাকাগুলোতেই একসাথে একই রকম লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে। ফলে এটি কোনো একটি সংস্থার সীমাবদ্ধতা নয়, বরং একটি সমন্বিত অব্যবস্থাপনার চিত্র বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
এই সমস্যা নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও ওয়াবদা—উভয় সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, কারো সাথেই কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জনগণের দাবি, অবিলম্বে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নইলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে এবং জনগণের ক্ষোভ আরও তীব্র হবে।